নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চৈত্রের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী হলেও বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে এখনও রাতে মাঝারী থেকে ঘণ কুয়াশায় সড়ক ও নৌযোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এবার মাঘের শেষ থেকেই গ্রীস্মের আবহ লক্ষ্য করা গেলেও চৈত্রের শুরু থেকেই নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘণ কুয়াশায় নৌযোগোযোগ বির্যস্ত হচ্ছে।
অপরদিকে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ রাত থেকে শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকা ছিলো ঘণকুয়াশা। সকালের ঘণকুয়াশা নিয়ে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ও দুপুরে সর্বোচ্চ ৩৩.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি। নগরীর একাধিক অটো চালকেরা জানান, শুক্রবার ভোররাতে লঞ্চঘাটে যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পর মনে হচ্ছিল বৃষ্টি হচ্ছে। ঘণকুয়াশায় চারদিকে কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা। বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশালে গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠলেও অব্যাহতভাবে শেষরাতে আবহাওয়ার বিপরিত চিত্র। ফলে সকাল প্রায় সাতটা পর্যন্ত সড়ক ও নৌযোগাযোগ অনেকটাই ব্যহত হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে, এবার পুরো শীত মৌসুমে তাপমাত্রা যেমন স্বাভাবিকের নিচে ছিলো, তেমনি শীত বিদায়ের পরে তা স্বাভাবিকের ওপরেই থাকছে। মার্চ মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের (৩৪-৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস) চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসাথে মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে একটি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বলেন, হঠাৎ করে দিনে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আবার রাতে তা কমে যাচ্ছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করেন। বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে বরিশালে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
Leave a Reply